ঢাকাদক্ষিণের বেশিরভাগ মানুষ সিলেটের আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলেন। প্রাচীনকাল থেকেই ঢাকাদক্ষিণের রয়েছে সমৃদ্ধ সংস্কৃতি। জাতীয় সংস্কৃতির পাশাপাশি ইসলাম ও হিন্দু ধর্মের লোকেরা আলাদাভাবে তাদের ধর্মীয় অনুষ্টানাদি পালন করে। এছাড়াও গ্রামাঞ্চলের বিভিন্ন ঘরে ঘরে পালন করা হয় নব্বান্ন। হিন্দু ও ইসলাম ধর্মের লোকেরা বাস করলেও বিভিন্ন উতসবে উভয় ধর্মের লোকেরা শামিল হয়।
প্রাচীনকাল থেকেই এ অঞ্চলের মানুষ ছিলেন সংস্কৃতিমনা। যার প্রমাণ মেলে ১৯৩১ সালে ব্রতী বালক সমিতি নামের সংগঠনের উদ্যোগে বৃহত্তর সিলেট-চট্টগ্রাম অঞ্চলের মধ্যে প্রথম কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ৭০তম জন্মবার্ষিকী পালনের মাধ্যমে। এ অঞ্চলের মানুষের সংস্কৃতির সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে ঐতিহাসিক বারণী মেলা। প্রতি বছর চৈত্র মাসের প্রতি রোববার ঢাকাদক্ষিণ ঠাকুরবাড়ী পুকুড় পাড় সংলগ্ন এলাকায় বসে এই বারণী মেলা। যেখানে হিন্দু-মুসলিমসহ দেশ-বিদেশ থেকে প্রচুর দর্শণার্থী আসেন।
ঢাকাদক্ষিণ সাহিত্য-সংস্কৃতি পরিষদ নামের একটি বেসরকারী, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এই অঞ্চলের শিক্ষা-সংস্কৃতির উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS